বই হলো মানষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি আমাদের মস্তিস্ককে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বই পড়া। পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত, সফল বা সুখি ছিলেন তাদের প্রায় সবারই একটি কমন অভ্যাস ছিলো আর তা হলো তারা প্রচুর বই পড়তেন।
আপনার কি মনে পড়ে সর্বশেষ কবে আপনি একটি বই পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলেন এক অন্য জগতে?
বই পড়ার সুবিধাসমুহ লিখে শেষ করা যাবেনা। এইখানে আমরা বই পড়ার ৮ টি কারন নিয়ে আলোচনা করবো।
১ বই পড়লে দুশ্চিন্তা কমে
আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে একটি ভালো বই-ই যথেষ্ট। আপনি যখন একটি বই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তখন আপনি এর গল্পে হারিয়ে যাবেন, চলে যাবেন অন্য এক জগতে আর ভুলে যাবেন আপনার পড়াশুনা, চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনের সব দুশ্চিন্তা।
২ ঘুমের জন্য বই পড়ুন
অনেক সময় আমরা অনিদ্রায় ( ইনসোম্নিয়া) ভুগি। বিভিন্ন চিন্তায় আমরা রাতে ঘুমাতে পারিনা। বই পড়া যেহেতু মানুষের দুশ্চিন্তা কমায়, তাই বই পড়লে আপনি এক ধরনে প্রশান্তি অনভুব করবেন এবং খুব সহজেই একটি গভীর ঘুমে সহযোগিতা করবে।
৩ জ্ঞান বৃদ্ধি করে
বই হচ্ছে জ্ঞানের বাক্স। আপনি যত বেশী বই পড়বেন আপনার জ্ঞান ততো বৃদ্ধি পাবে এবং জীবনকে আরো সহজভাবে আবিস্কার করতে পারবেন।
৪ নতুন নতুন শব্দ শেখা
বই পড়লে অনেক নতুন নতুন শব্দ শেখা যায় যা আপনাকে আত্নবিশ্বাসী করে তুলবে। আপনার শব্দভান্ডার যতো বড় থাকবে আপনি ততো সহজভাবে সবার সাথে সাবলিলভাবে কথা বলতে পারবেন।
৫ কথা বলা বা লিখা
সুন্দরকরে কথা বলতে বা লিখতে পারা একটি বড় দক্ষতা যা আমাদের সবার থাকা উচিৎ। ভালো একটি বই পড়লে আপনি সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর বাক্য, বিবিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বিখ্যাত উক্তি পাবেন যা অনুসরন করে আপনি আপনার কথা বলার বা লিখার দক্ষতাকে আরো শক্তিশালী করতে পারেন।
৬ বিনোদন
আপনার কাছে যদি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য অথবা কোন ভালো রেষ্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য পরর্যাপ্ত টাকা না থাকে তাহলে বই হতে পারে আপনার সবচেয়ে সহজলভ্য ও ভালো বিনোদনের মাধ্যম। যখনই মন খারাপ থাকবে, কাজ অথবা পড়াশুনা করতে করতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, তখনই আপনার আশেপাশের কোন একটি লাইব্রেরীতে চলে যান, শুরু করে দিন বই পড়া। সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
৭ স্মতিশক্তি বৃদ্ধি
একটি গল্পের বইতে অনেক চরিত্র থাকে। থাকে তাদের সাথে জরিত নানান ঘটনা যা বই পড়ার সময় আমাদের মনে রাখতে হয়। গবেষণায় পাওয়া গেছে বই পড়লে মস্তিকের যে পেশী স্মৃতি ধরে রাখে তা দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকে এবং এতে আমাদের শরনশক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৮ বই পড়া ছোঁয়াচে
এতোক্ষণে নিশ্চই আপনি বই পড়ার সুবিধাসমুহ জেনে গেছেন। আপনি চাইলে অন্যকেও বই পড়তে উৎসাহিত করতে পারেন। বন্ধু অথবা পরিবারের ছোটদের সামনে বই পড়ুন। আপনাকে দেখে তারাও হয়তোবা একদিন একটি বই হাতে নিয়ে পড়া শুরু করে দিতে পারে।